spot_img

৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বুধবার
১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকার স্বর্ণ পাচার হয়: বাজুস

দেশে প্রতিদিন প্রায় ২০০ কোটি টাকার স্বর্ণ চোরাচালান হয় যা বছরে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) স্ট‍্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং এন্ড ল এনফোর্সমেন্টের চেয়ারম্যান এনামুল হক খান দোলন।

শনিবার (১৩ আগস্ট ) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এনামুল হক খান দোলন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অব্যাহতভাবে মার্কিন ডলারের মাত্রাতিরিক্ত দাম ও সঙ্কট সহ অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার উর্দ্ধমুখি দাম এবং বেপরোয়া চোরাচালানের ফলে বহুমুখি সঙ্কটে পড়েছে দেশের জুয়েলারি শিল্প। দেশে মার্কিন ডলারের দাম ১১৮ টাকা পর্যন্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সোনার বাজারে অস্থিরতা ছড়িয়ে দিয়েছে চোরাকারবারিদের দেশি বিদেশি সিন্ডিকেট। কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে প্রতিনিয়ত স্থানীয় পোদ্দার বা বুলিয়ন বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হচ্ছে। পোদ্দারদের সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে সোনার পাইকারি বাজার। পোদ্দারদের সঙ্গে চোরাকারবারিদের সিন্ডিকেটের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মূলত এই চোরাকারবারিদের একাধিক সিন্ডিকেট বিদেশে সোনা পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে মনে করা হয়।

দেশে চলমান ডলার সঙ্কট ও অর্থপাচারের সঙ্গে সোনা চোরাচালানের সিন্ডিকেট সমূহের সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে সোনার বাজার অস্থিরতার নেপথ্যে জড়িত চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে কাস্টমস সহ দেশের সকল আইন প্রয়োগকারি সংস্থা সমূহের জোরালো অভিযান ও শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সোনার বাজারে শৃঙ্খলা আনতে কঠোর অভিযানের বিকল্প নেই বলে জানান তিনি।

এনামুল হক খান বলেন, বাজুসের প্রাথমিক ধারণা- প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে প্রতিদিন সারাদেশের জল, স্থল ও আকাশ পথে কমপক্ষে প্রায় ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলংকার ও বার চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে। যা ৩৬৫ একবছর শেষে দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা। দেশে চলমান ডলার সঙ্কটে এই ৭৩ হাজার কোটি টাকার অর্থপাচার ও চোরাচালান বন্ধে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।

এ ক্ষেত্রে বাজুসের প্রস্তাব হলো- সোনা চোরাকারবারিদের চিহ্নিত করতে বাজুলকে সম্পৃক্ত করে পৃথকভাবে সরকারি, মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে। পাশাপাশি চোরাকারবারিদের দমনে প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে আরও কঠোর আইন করতে হবে। এছাড়াও ব্যাগেজ রুলের আওতায় সোনার বার ও অলঙ্কার আনার সুবিধা অপব্যবহারের কারণে ডলার সঙ্কট ও চোরাচালানে কী প্রভাব পড়ছে, তা জানতে বাজুসকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরকে সমীক্ষা পরিচালনার প্রস্তাব করছি।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss