চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঠানটুলী ওয়ার্ডে ভোটের সংঘাতে এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী ও নগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবদুল কাদের ওরফে মাছ কাদের ও তার ২৫ জন অনুসারীকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নগর গোয়েন্দা পুলিশ ও ডবলমুরিং থানা পুলিশ যৌথভাবে ৩ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে বলে জানান ডবলমুরিং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুদীপ কুমার দাশ।
সদীপ কুমার দাশ বলেন, গুলিতে আজগর আলী বাবুল সর্দার নিহত হওয়ার ঘটনায় আবদুল কাদেরসহ ২৬ জনকে আটক করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে। তাদের নগরীর মনসুরাবাদস্থ ডিবি কার্যালয়ে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এর আগে সোমবার রাতে পোষ্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারী) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ২৮ নম্বর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের মগপুকুর পাড় এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর এবং বিদ্রোহী আবদুল কাদেরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি শুরু হয়। একপর্যায়ে দু’জন গুলিবিদ্ধ হলে তাদের হাসপাতালে নেয়ার পথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ও নজরুল ইসলাম বাহাদুর সমর্থক আজগর আলী বাবুল সর্দার (৫২) মারা যান।
উল্লেখ্য, নগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবদুল কাদের ২০১৫ সালে ওই ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। কাদের নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।
অপরদিকে নজরুল ইসলাম বাহাদুর চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। ২০১০-২০১৫ মেয়াদে তিনি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন।
চস/আজহার