বিক্ষিপ্ত সহিংসতা, সংঘর্ষ, গোলাগুলি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনে নিহত হয়েছেন দুইজন, আহত হয়েছেন জন। ঘটেছে আটকের ঘটনাও। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে।
একদিকে, আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী জনগণের রায়ে বিশ্বাসের কথা জানালেও কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়াসহ নানা অভিযোগ জানিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী। ষষ্ঠবাবের মতো এই নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করেন ৭ জন এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ২২৫ জন।
তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন দুই প্রধান মেয়রপ্রার্থী আওয়ামী লীগের এম. রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা) ও বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন (ধানের শীষ)। এছাড়া একই পদে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন- বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন (মোমবাতি), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ওয়াহিদ মুরাদ (চেয়ার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবুল মনজুর (আম) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী (হাতি)।
প্রসঙ্গত, চসিকের ৪১ ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ আর নারী ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন।
নির্বাচন কমিশন এবারের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে ৭৩৫টি। এর মধ্যে ৭৩৩টি স্থায়ী ও ২টি অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র। এসব ভোটকেন্দ্রে ভোটকক্ষ থাকবে ৪ হাজার ৮৮৬টি।
চস/আজহার