spot_img

১৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার
৩০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

মেয়র হলেন রেজাউল করিম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকারই জয় হয়েছে। বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নৌকা প্রতীকে তিন লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মেয়র প্রার্থী (ধানের শীষ) ডা. শাহাদাত হোসেন ভোট পান ৫২ হাজার ৪৮৯টি। অর্থাৎ, তিন লাখ ১৬ হাজার ৭৫৯ ভোটের ব্যবধানে রেজাউল করিম জয়ী হন।

ভোট পড়ার (কাস্টিং) হার ২২ দশমিক ৫২ শতাংশ। ৭৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭৩৩টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। বাকি দুটি কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।

সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ২টায় আ.লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীকে বেসরকারিভাবে মেয়র হিসাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যদিয়ে নগরবাসী পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য পেতে যাচ্ছেন নতুন নগরপিতা।

এর আগের মেয়াদে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী এম মনজুর আলমকে হারিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দীন। এই ধারাবাহিকতায় নির্বাচিত মেয়র হিসাবে তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন রেজাউল।

তার এই জয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যেও উচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়। বয়ে যায় আনন্দের বন্যা। বিভিন্ন স্থানে একে অপরকে মিষ্টিমুখ করিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করেন তারা।

বর্তমানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে প্রশাসক হিসাবে নিযুক্ত আছেন খোরশেদ আলম সুজন। প্রশাসক হিসাবে তার ১৮০ দিনের মেয়াদ শেষে রেজাউল করিম চৌধুরী মেয়র হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

এদিকে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, সাতজন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে বাকি পাঁচজন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারেননি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. জান্নাতুল ইসলাম ৪৯৮০ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ ১১০৯ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন ২১২৫ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আবুল মনজুর ৪৬৫৩ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী ৮৮৫ ভোট পেয়েছেন।

সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার রয়েছেন ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন ও নারী ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন।

বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলে। সংঘাত-সহিংসতায় এ নির্বাচনে একজনের মৃত্যু হয়। আহত হন শতাধিক। বিভিন্ন কেন্দ্রে দফায় দফায় ঘটে সংঘর্ষ। দুটি ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়।

 

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss