বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম ৮ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দীন আহমদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতলে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, ৪ কন্যা, একমাত্র ভাই, আত্মীয়স্বজন ও বহু রাজনৈতিক শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
মোসলেম উদ্দিন আহমদ ১৯৬৯ সালে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ শাখার সহ সভাপতি, পরে চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭০ সালে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম শহর শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মোসলেম উদ্দিন আহমদ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর তিনি ১৯৮২ সালে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পরবর্তীতে যুবলীগের রাজনীতি করে দীর্ঘ দেড় দশক চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর টানা দুই মেয়াদে ওই ইউনিটের আমৃত্যু সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
এছাড়া মোসলেম উদ্দিন আহমদ ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি জাসদের মইন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে শূণ্য হওয়া উপ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগ নেতা কফিল উদ্দিন প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর জাতীয় পার্টি ও বিএনপির পর জাসদ থেকে এমপি নির্বাচিত হলেও ৪৩ বছর পর ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের কোন নেতা এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন মোসলেম উদ্দীন আহমদের হাত ধরে।
এদিকে চট্টগ্রামের প্রবীণ এ রাজনীতিবিদের মৃত্যুর খবরে পুরো চট্টগ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার নির্বাচনি এলাকা ছাাড়াও চট্টগ্রামের আওয়ামী পরিবারের মাঝে শোক বিরাজ করছে। মোসলেম উদ্দীনের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে ছুটে যান কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলামসহ তার শুভার্থীরা।
চস/আজহার