spot_img

৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, সোমবার
১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

বঙ্গবন্ধু টানেলের ৯৬ শতাংশ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন

কর্ণফুলি নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণ কাজ প্রায় ৯৬ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন টানেলের প্রকল্প পরিচালক মো. হারুনুর রশিদ।

তিনি বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেলের নির্মাণ কাজ ৯৬ শতাংশ শেষ হয়েছে। যান্ত্রিক স্থাপনার কাজ এখনো চলছে। এরইমধ্যে এপ্রোচ রোড নির্মাণের কাজও শেষ হয়েছে। এ ছাড়াও ক্রস প্যাসেজ ও টানেল সম্পর্কিত টোল প্লাজার নির্মাণ কাজও প্রায় শেষের দিকে রয়েছে।’

প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, ‘টানেলের যান্ত্রিক, বৈদ্যুতিক ও সিভিল ওয়ার্ক চলছে এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে।’

তিনি আশা প্রকাশ করছেন, টানেলের নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, টানেলের বাকি ৪ শতাংশ কাজ শেষ করতে ব্যাপক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আর এই স্বপ্নের টানেলের নির্মাণ কাজ শেষ হলে নদীর নিচ দিয়ে এই ধরনের টানেল দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এটাই প্রথম। এ জন্য শ্রমিকদের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা এই প্রকল্পে কাজ করছেন।

প্রকল্পের বিবরণ অনুসারে জানা গেছে, নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দৈর্ঘ্য হবে ৩ দশমিক ৪০ কিলোমিটার। এ ছাড়াও ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটারের একটি অ্যাপ্রোচ রোডের পাশাপাশি একটি ৭২৭ মিটার ওভার ব্রিজ রয়েছে, যার মাধ্যমে মূল শহর, বন্দর এবং নদীর পশ্চিম দিককে এর পূর্ব দিকের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। সেইসঙ্গে টানেলটি প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়েকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এতে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমে আসবে।

আরও জানা গেছে, এই টানেল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এবং বাকি অর্থ দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর যৌথভাবে বঙ্গবন্ধু টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এরপর ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম টানেল টিউবের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

সূত্র: বাসস

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss