spot_img

৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, সোমবার
২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ

বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিচ্ছেন ২ নারীসহ ৪৩ জন

এবার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেবেন দুই নারীসহ ৪৩ জন সাঁতারু। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্রসৈকত থেকে তারা সাঁতার শুরু করেছেন। সাঁতার প্রতিযোগিতার উদ্ধোধন করেন টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরফানুল হক চৌধুরী।

দুই নারীর একজন ভারতের রচনা শর্মা এবং আরেকজন বাংলাদেশের এম এস টি শোহাগী আক্তার। কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে স্রোতোধারাটির নাম ‘বাংলা চ্যানেল’। এই চ্যানেলের দূরত্ব ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার। সাঁতার শেষ হবে সেন্টমার্টিন দ্বীপের উত্তর সৈকতে।

এবারও সাঁতারের আয়োজন করেছে ‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’ ও ‘এক্সট্রিম বাংলা’। আয়োজনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘১৮তম বাংলা চ্যানেল সাঁতার-২০২৩’। এ উপলক্ষে গত সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার বিকেলে শাহপরীর দ্বীপ সমুদ্র সৈকতে সাঁতারুরা দল বেঁধে অনুশীলন করেছেন।

এবারের সাঁতারুরা হলেন-ফজলুল কবির সিনা, লিপটন সরকার ১৯ বার, মো. মনিরুজ্জামান ১২ বার, আয়রনম্যানখ্যাত মোহাম্মদ শামসুজ্জামান আরাফাত ৯ বার, শেখ মাহবুব উর রহমান, আল্লামা দিদার, সালাহ উদ্দিন, মো. কামাল হোসেন, এমডি জিহাদ হুসেন, আবাদুল ইসলাম, এমডি ইলিয়াস হোসেন, মাহাদী হাসান সায়েম, আব্দুল্লাহ আল সাবিত, এস এম শারিয়ার মাহমুদ, হুমায়েদ ইছাহাক মুন, রচনা শর্মা (ভারতীয়), আতিকুল ইসলাম, এমডি ফজলে রাব্বি চৌধুরী, এমডি আব্দুল মতিন, জয়তু দাস, এমডি মইজ উদ্দিন মেরাজ, ফরিদ আহমেদ খান, আব্দুল ইলা, মোহাম্মদ তামিম পারভেজ, মুরাদ হোসেন, এমডি গোলাম হাফিজ, সবুজ কুমার বর্মন, এমডি নাদিম মাহমুদ, এমডি মাহমুদুল হাসান, হাসান ইমাম, এমডি জামিল হোসেন, জাফর সাদাক, শরভ শমাদ্দার, এমডি মুশা আহমেদ, এমডি নাসির উদ্দিন, মাহমুদুর রহমান বনি, সাইফুল ইসলাম রাসেল, এমডি আবুল্লাহ আল রোমান, সুমন বালা, এমডি ফারুক হোসেন, এমএসটি শোহাগী আক্তার, মো. নাজমুজ সাকিব শিমুম ও উজ্জাল চৌধুরী।

প্রধান সমন্বয়ক ও ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার বলেন, এবার একজন ভারতীয় নারীসহ ৪৩ জন সাঁতারু অংশ নেবেন। এই সাঁতার আন্তর্জাতিক রীতি মেনে পরিচালনা করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক সাঁতারুর জন্য বোট ও উদ্ধারকর্মী রয়েছে। বাংলা চ্যানেল সাঁতারকে আন্তর্জাতিক করতে পেরেছি।ধারাবাহিকভাবে এ নৌপথে সাঁতার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিবারেই সাঁতারুদের অংশগ্রহণ বলে দিচ্ছে বাংলাদেশে দূরপাল্লার সাঁতার জনপ্রিয়।

বঙ্গোপসাগরে দূরপাল্লার সাঁতারের উপযোগী ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো বাংলা চ্যানেল সাঁতার অনুষ্ঠিত হয়। সেবার সাঁতারে অংশ নিয়েছিলেন লিপটন সরকার, ফজলুল কবির সিনা ও সালমান সাইদ।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss