সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনতার দাবি গণপরিবহনের দ্বিগুন ভাড়া প্রত্যাহারের। স্বাস্থ্যবিধির বালাই না থাকলেও দ্বিগুণ ভাড়া ঠিকই আদায় করে নিচ্ছেন চালকরা। ফেসবুকে জনপ্রিয় একটি গ্রুফ ডিএসসিতে শোভন চক্রবর্ত্তী নামের একজন ব্যাক্তি পোস্ট করেছেন, “গণপরিবহনে ডাবল ভাড়া প্রত্যাহার করার সময় এসে গেছে। প্রায় সব গাড়িতেই নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত মানুষ, মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি। সরকার ৬০% ভাড়া বর্ধিত করার কথা বললেও বাস্তবে নেওয়া হচ্ছে ১০০% অর্থাৎ ডাবল ভাড়া।”
এছাড়া তিনি পরিবহন মালিক সমিতি ও Magistrates of BRTA Chattogram এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে লিখেছেন, “গতকাল আমি ডাবল ভাড়া দিতে না চাইলে আমার সাথে তর্কাতর্কি শুরু করে দেয় অথচ বাসের বাকি মানুষ গুলো চুপ থাকাতে আমাকে বাধ্য হয়ে ডাবল ভাড়া দিয়ে বাস থেকে নামতে হলো। এই ডাবল ভাড়া আদায়ের নামে প্রহসন বন্ধের তীব্র আওয়াজ তুলুন।”
তার এই পোস্টে মাত্র এক ঘণ্টায় এক হাজারের বেশি মানুষ রিয়েকশন দিয়েছেন। মন্তব্য করেছেন ৯৭ টি। বিভিন্নজন তাদের নিজস্ব মোবাইলে গণপরিবহনে স্বাস্থবিধি না মানার বিভিন্ন চিত্র দেন।
রাশেদ মোহাম্মদ রিপন নামের একজন শির্ক্ষাথী মন্তব্য করেন, “আমার তো প্রতিদিন ই এরকম হচ্ছে। সব ক্ষেত্রে ডাবল ভাড়া। ব্যবসায়ীক পন্য আনা নেয়ার ক্ষেত্রে গণপরিবহন ই আমার একমাত্র বাহন। সেক্ষেত্রে ব্যবসার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পরতে যাচ্ছি। অনতিবিলম্বে “১০০% বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার চাই”।”
আব্দুল্লা রাকিব নামের একজন সাংবাদিক মন্তব্য করেন, “গত ১ সপ্তাহ ধরে এ পরিস্থিতির মুখোমুখি আমি নিজেও হচ্ছি। কোন যাত্রীর মাথা ব্যাথা নেই৷ গাড়ির হেল্পার কে বিআরটিএ এর কথা বললে উল্টো বলে কিচ্ছু হবে না। কি করবেন করেন। আমার প্রশ্ন কার জন্য এই ৬০%? যাত্রীদের বেতন কী ৬০% বেড়েছে?”
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন নামের এক ইন্জিনিয়ার লিখেছেন, “এটা এখন আমাদের গলার কাটা হয়ে গেছে।কারন যাত্রী আগের মত নিলেও তারা ভাড়া কম নিতে চাচ্ছে না।আর এসব নিয়ে কথা বলতে গেলেই হেপ্লার গুলার ভাষা তো সবার ই জানা”
এভাবে বিভিন্নজন মন্তব্য করেছেন এই বিষয় নিয়ে। সকলের দাবি এই দ্বিগুণ ভাড়া প্রত্যাহার করা হোক।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ মে গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। যা ১ জুন থেকে কার্যকর হয়েছিলো। কিন্তু চালকরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছেন।
চস/আজহার