জুটি যখন জমে ক্ষীর, তখনই যেন ইম্প্রুভাইজেশনের ইচ্ছে চেপে বসছে ব্যাটসম্যানদের মগজে। আগের ম্যাচে চেপেছিল মুশফিকুর রহিমের মাথায়। রিভার্স সুইপের খড়গে হারিয়েছিলেন উইকেট। আজ চাপল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মাথায়। সান্দাকানকে করতে গেলেন স্কুপ, উইকেট দিলের কিপারের হাতে। তাতে টানা দ্বিতীয় শতরানের জুটি হলো না মুশফিক-রিয়াদের।
এরপর মাঠে নামেন গত ম্যাচে দারুণ ব্যাট করা আফিফ। কিন্তু তাঁরও মাঠে বেশিক্ষণ থাকা হলো না। সঙ্গ দেয়া হলো না মুশফিককে। ১২ বলে ১০ রান করে উদানার বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। আফিফের বিদায়ের পর মাঠে নামেন মিরাজ। কিন্তু তিনিও সঙ্গ দিতে পারলেন না অভিজ্ঞ মুশিকে। মাত্র ২ বলে শুন্য রানে সাজঘরে ফিরলেন তিনি।
সেই সাথে দলও পড়ল খানিকটা অস্বস্তিতে।
এখন মুশফিকই শেষ ভরসা। এই রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৭ ওভারে ১৭৯ রান। ব্যাট করছেন মুশফিক এবং সাউফুদ্দিন।
এর আগে মিরপুরে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ১৫ রানের মধ্যে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসান সাজঘরের পথ ধরেন।
অথচ ইনিংসের প্রথম ওভারে ইসুরু উদানাকে তিন বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তামিম। কিন্তু দুশমন্ত চামিরার পরের ওভারে জোড়া উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।
ওভারের প্রথম বলেই দারুণ এক ইনসুইঙ্গারে তামিমকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন চামিরা। আম্পায়ার প্রথমে আউট দেননি। শ্রীলঙ্কা রিভিউ নিয়ে নেয়, তাতেই বাজিমাত। বাংলাদেশ অধিনায়ক ফেরেন ৬ বলে ১৩ রানের ইনিংস খেলে।
ওই ওভারেরই চতুর্থ বলে চামিরার আরেকটি ইনসুঙ্গারে পরাস্ত হন সাকিব আল হাসান। এবার আম্পায়ার সঙ্গে সঙ্গেই আঙুল তুলে দেন, আউট বুঝতে পেরে রিভিউ নেননি সাকিব (০)।
অফফর্মে থাকা লিটন আজ বেশ দেখেশুনে খেলছিলেন। কিন্তু ২৫ রানে পৌঁছার পর ভুল শট খেলে বসেন। সান্দাকানকে কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়েন ডানহাতি এই ওপেনার। এরপর দলে ফেরা মোসাদ্দেক হোসেনও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১০ রানেই আউট হন এই অলরাউন্ডার।
চস/আজহার