spot_img

২৮শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, সোমবার
১৩ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

৯৪ রান করতে পারলেই সিরিজ টাইগারদের

আগের ম্যাচে মাত্র ১২৮ করেও জিতে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সিরিজ জয়ের অপেক্ষা তাই বেড়েছে টাইগারদের। তবে এবার আর কিউইদের ওত রান পর্যন্ত যেতে দেননি নাসুম-মোস্তাফিজরা।

টাইগারদের বোলিং তোপে ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতে মাত্র ৯৩ রানে গুটিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। অর্থাৎ এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিততে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলকে করতে হবে ৯৪ রান।

নিউজিল্যান্ডের টসভাগ্য খুবই ভালো বলতে হবে। মিরপুরে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতেও টস জিতেছেন কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম। প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

তবে এবার কিউইদের শুরুটা ভালো করতে দেয়নি বাংলাদেশ। নাসুম আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে চাপে পড়ে সফরকারিরা। প্রথম ওভারেই বাঁহাতি এই স্পিনারকে আক্রমণে নিয়ে আসেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ওই ওভারের চতুর্থ বলে রাচিন রবীন্দ্রকে (০) তুলে নেন নাসুম। সুইপ করতে গিয়ে কিউই ওপেনার বল ভাসিয়ে দেন বাতাসে। শর্ট ফাইন লেগ থেকে দৌড়ে এসে ক্যাচ তালুবন্দী করেন সাইফউদ্দিন। ওই ওভারে এক রানও খরচ করেননি নাসুম।

সাকিব আল হাসান ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে এসে দেন ১০ রান। ফিন এলেন হাঁটু গেড়ে রিভার্স সুইপ করে অবিশ্বাস্য এক ছক্কা হাঁকান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে। তবে তৃতীয় ওভারে সেই অ্যালেনকেও আউট করেছেন নাসুম।

আরেকটি রিভার্স সুইপ খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এবার টাইমিং মেলাতে না পেরে মারমুখী কিউই ওপেনার (৮ বলে ১০) পয়েন্টে হন সাইফউদ্দিনের সহজ ক্যাচ। ১৬ রানে ২ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।

চাপের মুখে কৌশল বদলে ফেলে সফরকারিরা। তৃতীয় উইকেটে টম ল্যাথাম আর উইল ইয়ং রানরেটের দিকে নজর না দিয়ে দেখেশুনে খেলতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত তাদের থিতু হয়ে যাওয়া জুটিটি (৪৫ বলে ৩৪) একাদশতম ওভারে ভাঙেন শেখ মেহেদি হাসান।

টাইগার অফস্পিনারকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে চেয়েছিলেন ল্যাথাম। কিন্তু কিউই অধিনায়ক ঘূর্ণিবল বুঝতে পারেননি। অনেকটা সামনে এগিয়ে যাওয়া ল্যাথামকে (২৬ বলে ২১) সহজেই স্ট্যাম্পিং করেন নুরুল হাসান সোহান।

এর পরের ওভার ফের নাসুম ঝলক। এবার টানা দুই বলে দুই ব্যাটসম্যানকে সাজঘরের পথ দেখান এই বাঁহাতি। ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড করেন হেনরি নিকোলসকে (১)। পরের বলে টার্ন বুঝতে না পেরে ব্যাট পেতে দিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম (০)।

টম ব্লান্ডেলকে উইকেটে থিতু হতে দেননি মোস্তাফিজুর রহমান। ১৬তম ওভারে তার স্লোয়ারে বিভ্রান্ত হয়ে ব্যাট ধরে দেন ব্লান্ডেল (৪), মিডঅন থেকে দৌড়ে এসে দারুণ এক ক্যাচ ধরেন নাইম শেখ। ওই ওভারেই শেষ বলে কোল ম্যাকঞ্চিকে (০) ফিরতি ক্যাচ বানিয়েছেন কাটার মাস্টার।

একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন উইল ইয়ং। তিনিই কিউইদের একশর কাছাকাছি নিয়ে গেছেন। ৪৮ বলে ৪৬ রান করে ইনিংসের শেষ ওভারে মোস্তাফিজের শিকার হয়েছেন এই ব্যাটসম্যান।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল নাসুম আহমেদ। ৪ ওভারে দুটি মেইডেনসহ মাত্র ১০ রান খরচায় ৪টি উইকেট নিয়েছেন এই স্পিনার। মোস্তাফিজও নেন ৪ উইকেট। খরচ করেন মাত্র ১২ রান।

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss