সদ্য প্রয়াত অভিনেতা আবদুল কাদেরের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার মরদেহ নেওয়া হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে। বেলা ৩টার পর মরদেহ শিল্পকলা একাডেমিতে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আবদুল কাদেরের পূত্রবধু জেমি ও ছোট ভাই। তার আগে দুপুর ২টার দিকে মিরপুর ডিওএইচএস সেন্ট্রাল মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রথম জানাজা শেষে সহকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ বেলা ৩টার পর নেওয়া হবে শিল্পকলায়। সেখানে শ্রদ্ধা প্রদর্শন শেষে হবে আবদুল কাদেরের দ্বিতীয় জানাজা। এরপর তাকে দাফন করা হবে বনানীর করস্থানে।
ক্যান্সারে আক্রান্ত অভিনেতা আবদুল কাদের শনিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এর আগে অসুস্থ আবদুল কাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ ডিসেম্বর ভারতের চেন্নাইয়ে নেওয়া হয়। সেখানকার হাসপাতালে পরীক্ষার পর গত ১৫ ডিসেম্বর তার শরীরে ক্যান্সারের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এরপর চিকিৎসকরা জানান, সারা শরীরে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। শারীরিক দুর্বলতার কারণে তাকে কেমোথেরাপিও দেওয়া যায়নি।
এরপর গত ২০ ডিসেম্বর আবদুল কাদেরকে নিয়ে দেশে ফেরেন স্বজনরা। পরদিন তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২১ ডিসেম্বর তার শরীরের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে।
১৯৫১ সালে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী থানার সোনারং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল কাদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার পর সিঙ্গাইর কলেজ ও লৌহজং কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরে বিটপী বিজ্ঞাপনী সংস্থায় এক্সিকিউটিভ হিসেবে যোগ দেন। বিটপী ছাড়ার পর তিনি ৩৫ বছর বাটায় কাজ করেন।
১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ডাকসু নাট্যচক্রের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন আবদুল কাদের। তিনি থিয়েটার নাট্যগোষ্ঠীর যুগ্ম-সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। পরে ছিলেন থিয়েটারের পরিচালক (প্রশিক্ষণ)।
চস/এএম


