ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইনকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। গণ-অভ্যুত্থানের সময় তিনি ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের ডিসি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
বুধবার (২৩ জুলাই) বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে সাময়িক বরখাস্তের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ওয়ারী বিভাগের প্রাক্তন উপপুলিশ কমিশনার বর্তমানে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে গত বছরের ২৮ আগস্ট থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।
সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী পলায়নের শামিল এবং বিধি অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় যেদিন থেকে অনুপস্থিত সেই তারিখ হতে মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি খোরপোষ ভাতা পাবেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশ যখন ছাত্র-জনতার বুকে গুলি চালাচ্ছিল ঠিক সে সময় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে এ বিষয়ে তথ্য দিচ্ছিলেন ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন। এমন এক ভিডিও ভাইরাল হয়।
সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশের গুলির বিষয়টি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামালকে জানাচ্ছিলেন ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন।
তার হাতের মোবাইলে একটি ভিডিও চলছিল। সেই ভিডিও মনোযোগ দিয়ে দেখছিলেন আসাদুজ্জামান খানসহ উপস্থিত অন্যরা। এ সময় ওই পুলিশ সদস্যকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলতে শোনা যায়,
‘গুলি করে করে মরদেহ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়।’
বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল থেকে অনুপস্থিত হওয়ায় এমন প্রায় ২৫ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে এ পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।
চস/স