পাকিস্তানে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণের ঘটনা রুখতে ধর্ষকদের রাসায়নিক প্রয়োগে খোজা বা নপুংসক করতে আইন প্রণয়ন এবং যৌন নির্যাতন মামলায় দ্রুত শুনানিতে অনুমোদন দিয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মন্ত্রিসভা। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানিয়েছে।
ডনের খবরের বলা হয়ে, গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে রাসায়নিক প্রয়োগে নপুংসক করার পাশাপাশি ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার দাবি তোলেন ইমরান খানের মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি অনুমোদন পায়নি। পাকিস্তানের শাসকদল তেহরিক-ই-ইনসাফ এবং পাকিস্তানের সিনেটের সদস্য ফয়জল জাভেদ খান জানান, শিগগিরই নপুংসক করা সংক্রান্ত বিলটি পার্লামেন্টে পেশ করা হবে। তবে, এ ব্যাপারে এখনো সরকারিভাবে কিছু ঘোষণা করেনি পাকিস্তান সরকার।
পাকিস্তানের মন্ত্রিসভায় খসড়া প্রস্তাবে পুলিশে বেশি সংখ্যক নারীদের নিয়োগ, ফাস্ট ট্র্যাকিং কোর্ট বসানো এবং সাক্ষীর নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইমরান খান বলেছেন, নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের কর্তব্য। এ ব্যাপারে কোনো গাফিলতি তিনি বরদাশত করবেন না। আইন দ্রুত পাস হলে কড়াকড়িভাবে তা প্রয়োগ হবে বলে মন্তব্য করেন ইমরান।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্যাতিতাদের নির্ভয়ে অভিযোগ দায়ের করতে উৎসাহিত করে বলেছেন, তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের সুরক্ষা ও পরিচয় গোপন রাখার দায়িত্ব সরকারের।
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে লাহোরে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয় এক সাত বছরের শিশুকে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে এবং ধর্ষকদের জন্য কড়া আইনের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা পাকিস্তান। ক্রমবর্ধমান ধর্ষণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার নতুন আইন আনতে যাচ্ছেন ইমরান খান।
চস/আজহার