spot_img

২৫শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার
১০ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ

মার্কিন র‍্যাপারের সঙ্গে দুবাইয়ের রাজকন্যার বাগদান

দুবাইয়ের রাজপরিবারের সদস্য ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাকতুমের কন্যা শেখা মাহরা নতুন জীবনের পথে পা রেখেছেন। মরক্কো বংশোদ্ভূত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গায়ক ও র‌্যাপার ফ্রেঞ্চ মনটানার সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেছেন তিনি। গত ২৭ আগস্ট সংবাদমাধ্যমকে মাহরার একজন প্রতিনিধি নিশ্চিত করেছেন এ তথ্য।

মাহরা তার বিলাসী জীবনযাপনের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্টের এই মেয়ে রাজপরিবারের রক্ষণশীলতার কোনো তোয়াক্কা না করে গত বছরই বিয়েবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। এরপর ব্যাপক আলোচনা শুরু হয় তাকে নিয়ে। এবার নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন তিনি।

পিপল ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুনে প্যারিস ফ্যাশন উইকে মাহরাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ফ্রেঞ্চ মনটানা। গায়কের প্রকৃত নাম করিম খারবুচ। এর আগে গত বছর তাদের মধ্যকার প্রথমবার প্রেমের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় তাদের সংযুক্ত আরব আমিরাতে একসঙ্গে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। এমনকি একসঙ্গে বাইরে ডিনার করাও ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

এর আগে ২০২৪ সালেও শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছিলেন মাহরা। ২০২৩ সালের মে মাসে এক জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে বিয়ে হয়েছিল তার।। কিন্তু পরের বছর ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বিয়েবিচ্ছেদ হয়। তখন তিনি ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে স্বামীর অন্য সঙ্গীদের সঙ্গে ব্যস্ততার কথা জানিয়েছিলেন।

মাহরা তখন লিখেছিলেন, ‘প্রিয় স্বামী, তুমি যেহেতু অন্য সঙ্গীদের নিয়ে ব্যস্ত, এ জন্য আমি এখানে আমাদের বিয়েবিচ্ছেদের ঘোষণা দিচ্ছি। তোমাকে তালাক দিচ্ছি, তালাক দিচ্ছি ও তালাক দিচ্ছি। সাবধানে থেকো, তোমার সাবেক স্ত্রী।’ তবে এই সংসারে এক কন্যাসন্তান রয়েছে মাহরার।

ফোর্বসের তথ্য মতে, মাহরা ২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী আনুমানিক মোট ৪০ কোটি ডলার মূল্যের সম্পদের মালিক। এছাড়া সে বাবা এবং মা গ্রীক সমাজকর্মী জো গ্রিগোরাকোসের একমাত্র সন্তান। বাবা শেখ মোহাম্মদের মোট ২৬ সন্তানের মধ্যে মাহরা একজন।

দুবাইয়ের শেখ একজন বিলিয়নেয়ার। যিনি তার সম্পদের অধিকাংশই রিয়েল এস্টেট ডেভেলপমেন্ট থেকে অর্জন করেছেন। প্রায় দুই দশক ধরে দুবাই ও সংযুক্ত আর আমিরাত শাসনের সময় পাম দ্বীপপুঞ্জ এবং বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফাসহ কয়েকটি সম্পত্তি তত্ত্বাবধান করে শহরটিকে একটি আধুনিক নগরায়নে পরিণত করতে সহায়তা করেন।

এদিকে মাহরা ২০২৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনশিপের ওপর স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে নিজ নামে পারফিউম ব্যান্ড ‘মাহরা এম১’ চালু করেন এবং বাবার মতো উদ্যোক্তার পথে পা বাড়ান।

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss