চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ভেঙে পড়ে ১৩ জন নিহত হওয়ার মামলায় সাক্ষ্য দিতে না আসায় পুলিশের ২ এসআইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া সাক্ষীরা হলেন- তৎকালীন চান্দগাঁও থানার এসআই আরিফুর রহমান ও এসআই আব্দুল হালিম।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন কোনও সাক্ষী না আসায় তাদের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অনুপম চক্রবর্তী জানান, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ভেঙে পড়ে ১৩ জন নিহত হওয়ার মামলায় আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার সাক্ষী পুলিশের দুই এসআই আদালতে আসেননি। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এই মামলায় মোট ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
মামলায় অভিযুক্ত আটজন হলেন- মীর আক্তার অ্যান্ড পারিশা ট্রেড সিস্টেমস (জে.ভি) বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো.গিয়াস উদ্দীন, সুপারভিশন ইঞ্জিনিয়ার মো. মনজুরুল ইসলাম, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হাই, মো. মোশারফ হোসেন রিয়াজ, ডাইরেক্টর (অ্যাডমিন) প্রকৌশলী মো. শাহজাহান আলী, আব্দুল জলিল, আমিনুর রহমান ও রফিকুল ইসলাম।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ভেঙে পড়ে নিহত হন ১৩ জন। কর্তব্যে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে প্রকল্প পরিচালক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৬ নভেম্বর চান্দগাঁও থানার তৎকালীন উপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
চস/স