জম্মু-কাম্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য স্থগিত করেছ পাকিস্তান। একই সঙ্গে ইসলামাবাদে ভারতের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার এবং নয়াদিল্লিতে তাদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে দেশটি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে বুধবার দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। খবর বিবিসি, এনডিটিভি ও ডনের
পাকিস্তান সরকারের এক টুইট বার্তায় বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিত এবং ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিত করা হলো।
জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকের পর নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেহমুদ কোরেশি। তিনি বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রদূত দিল্লিতে থাকবেন না। তাদের রাষ্ট্রদূতকেও ফেরত পাঠানো হবে।’
পাকিস্তান বলছে, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের ব্যাপারটি ‘এক তরফা ও অবৈধ’। এ অভিযোগেই ইসলামাবাদে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজয় বিশরিয়াকে বহিষ্কার করে ইমরান খানের সরকার।
সোমবার ভারতের রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের ঘোষণা দেন। এর মধ্য দিয়ে ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের ৭০ বছরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। সংবিধানের এই ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দুই ভাগ করা হয়।
৩৭০ ধারার ফলে অনেক ক্ষেত্রেই স্বায়ত্তশাসিত ছিল জম্মু-কাশ্মীর। নিজস্ব সংবিধান, আলাদা পতাকা ও স্বতন্ত্র আইন বানানোর অধিকার ছিল ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের। তবে ৩৭০ ধারা বাতিলের ফলে এখন থেকে জম্মু-কাশ্মীরের পরিচিতি হবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে।
ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন ইমরান খান। মঙ্গলবার পার্লামেন্টে তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে এখন জাতিগত নিধন চালানো হবে।
চস/আজহার