spot_img

৩১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বুধবার
১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

বিএনপি ছাড়লেন মোরশেদ খান

বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান। দলের প্রাথমিক সদস্যপদ প্রত্যাহারের মাধ্যমে সক্রিয় রাজনীতি থেকেও অবসরে যাবেন বলে এক চিঠিতে জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার রাতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিজের ব্যক্তিগত সহকারী আতাউলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন বলে দলীয় একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বিএনপির বর্তমান কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিলেন মোরশেদ খান। বিএনপি দপ্তর সূত্র জানায়, মোরশেদ খানের ব্যক্তিগত সহকারী আতাউল সন্ধ্যায় সাতটার দিকে দলীয় কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র নিয়ে যায়। কিন্তু দপ্তর প্রধান রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ স্কাইপিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন। বৈঠক শেষ হলে রাত ১০টার দিকে পদত্যাগপত্র দেয়া হয়।

পদত্যাগপত্রে সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আজ অনেকটা দুঃখ ও বেদনাক্লান্ত হৃদয়ে আমার এই পত্রের অবতারণা। মানুষের জীবনের কোনো না কোনো সময়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেই হয়, যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। আমার বিবেচনায়, সে ক্ষণটি বর্তমানে উপস্থিত এবং উপযুক্তও বটে।’ তিনি রাজনীতির অঙ্গনে তার দীর্ঘকালের পদচারণা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের সংগ্রাম এবং দেশের মানুষের কল্যাণে অবদান রাখার কথা উল্লেখ করেন।

খালেদা জিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মোরশেদ খান আরও লিখেছেন, বিএনপি এবং আপনার যোগ্য নেতৃত্বের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে বর্তমানে দৃঢ় বিশ্বাস দেশের রাজনীতি এবং দলের অগ্রগতিতে নতুন কিছু সংযোজনের সঙ্গতি নেই। আমার উপলব্ধি সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। বহু বিচার-বিশ্লেষণে বিএনপির রাজনীতি থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রাথমিক সদস্যসহ ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করছি। অব্যাহতি দিয়ে বাধিত করবেন।

তবে দলটির একটি সূত্র বলছে, একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় তার মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। এছাড়া চট্টগ্রামের রাজনীতিতে দলের একটি অংশ তাকে কোণঠাসা করে রাখে। তার অনুসারীদের বিভিন্ন পদ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। এই ক্ষোভ আর হতাশা থেকেই তিনি পদত্যাগ করেছেন।

৭৯ বছর বয়সী মোরশেদ খান তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। সিটিসেল, প্যাসিফিক মোটরস, আরব বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অনেক প্রতিষ্ঠানে তার বিনিয়োগ ও সম্পত্তি রয়েছে।

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss