spot_img

২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শনিবার
১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

গণতন্ত্রের নামে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কারো হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই: রাশিয়া

গণতন্ত্র কিংবা অন্য কোনো অজুহাতে বাংলাদেশ বা অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের কারো হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।

ঢাকায় রাশিয়া দূতাবাস মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়।

রাশিয়া দূতাবাস বলেছে, রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অগ্রহণযোগ্যতা এবং তাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা সম্পর্কিত ১৯৬৫ সালের জাতিসংঘের ঘোষণা অনুসারে ‘কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক যা-ই হোক না কেন সেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হস্তক্ষেপ করার অধিকার অন্য কোনো রাষ্ট্রের নেই।’ দুর্ভাগ্যবশত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে (বিশেষত, স্নায়ুযুদ্ধের শেষের পরে), হস্তক্ষেপ না করার নীতি লঙ্ঘনের সমস্যাটি বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। কারণ অনেকে বিশ্বাস করে, তারা তাদের নিজস্ব স্বার্থের জন্য ওই নীতি লঙ্ঘন করতে পারে।

দূতাবাস বলেছে, নিজেদের উন্নত গণতন্ত্র হিসেবে দাবি করা দেশগুলোর মধ্যে আধিপত্যবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলো সবচেয়ে স্পষ্টভাবে প্রদর্শিত হয়। তারা শুধু জাতিসংঘের সার্বভৌম সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপই করে না, বরং নির্লজ্জ ব্ল্যাকমেইলিং, অবৈধ বিধি-নিষেধ ইত্যাদিও অবলম্বন করে। ফলে বিশ্বের অনেক দেশের সার্বভৌমত্ব বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ে।

রাশিয়া দূতাবাস তার দেশের ২০১৭ সালের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিভিন্ন উপায় তুলে ধরেছে। সেগুলোর মধ্যে অবাণিজ্যিক বাণিজ্যিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা বা সমর্থন করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করা, জনমত গঠনের জন্য গণমাধ্যম ও সামাজিক নেটওয়ার্কের ব্যবহার, প্রতিবাদ উসকে দেওয়া এবং ফেডারেল বা আঞ্চলিক নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা উল্লেখযোগ্য।

রাশিয়া দূতাবাস জানায়, কৌশলগত স্বাধীনতা ও একটি ন্যায্য বিশ্বব্যবস্থার সার্বভৌম দৃষ্টভঙ্গি বজায় রাখা দেশগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অন্যান্য সরঞ্জাম রয়েছে। যারা নিজেদের বিশ্বের শাসক বলে মনে করে তারা ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ’ রক্ষার অজুহাতে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে। এ ধরনের নীতি স্পষ্টতই বিশ্বব্যবস্থার স্থায়িত্ব নষ্ট করে এবং বিশৃঙ্খলা ও বিপর্যয় ডেকে আনে। অসম্পূর্ণ তালিকায় আছে যুগোশ্লাভিয়া, ইরাক, লিবিয়া, ইয়েমেন, সিরিয়া এবং আফগানিস্তান।

রাশিয়া দূতাবাস আরও জানায়, তৃতীয় দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার বিষয়ে রাশিয়া তার নীতিগত অবস্থানে সব সময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের মতো অনেক রাষ্ট্র বিদেশি শক্তির নেতৃত্ব অনুসরণ না করে নিজস্ব জাতীয় স্বার্থের জন্য তাদের বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ নীতি প্রণয়ন করে এবং একই পন্থা অবলম্বন করে। রাশিয়া তাদের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে। সূত্র: রাইজিংবিডি

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss