নোয়াখালীর শাহাজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাস ক্ষেত্রের ৩ নম্বর কূপে মিলেছে গ্যাসের অস্তিত্ব। কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া ইউনিয়নের গ্যাস ক্ষেত্রের কূপের তিনটি জোনে গ্যাস পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স)।
২০২৩ সালের নভেম্বরে শুরু হওয়া খননকাজ শেষ হয়ে এখন চলছে ডিএসটি টেস্ট। প্রাথমিকভাবে কূপটির ৩টি জোনে গ্যাসের অস্তিত্ব মিলেছে। ডিএসটি টেস্ট শেষে জানা যাবে এখানে কী পরিমাণ গ্যাস মজুত আছে। গত শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে কূপটির সর্বনিম্ন স্তরে ডিএসটি টেস্ট শুরু করেন বাপেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) প্রকল্প পরিচালক প্রিন্স মো. আল হেলাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের খনন কার্যক্রম শেষে শনিবার থেকে পরীক্ষামূলক ডিএসটি টেস্টের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন চলছে লোয়ার জোনের টেস্ট। কূপটির মোট তিন হাজার ৩৮৫ মিটার গভীরে খনন করা হয়েছে। যার মধ্যে লোয়ার জোনের ৩০৪১ মিটার থেকে ৩০৪৬ মিটার এবং ৩০৫৭ মিটার থেকে ৩০৬৪ মিটার পর্যন্ত টেস্ট কার্যক্রম চলছে। এরপরই অপর দুটি জোনের টেস্ট কার্যক্রম চলবে। ডিএসটি টেস্টের পরই এখানে মোট গ্যাস মজুতের পরিমাণ জানা যাবে।’
বাপেক্সের চরকাঁকড়া ৩ নম্বর কূপের ড্রিলিং ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এই কূপ থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে লোয়ার জোনে গ্যাসের চাপ দেখে মনে হচ্ছে, এই কূপ থেকে আরও বেশি পরিমাণ গ্যাসও পাওয়া যেতে পারে। বাকি দুটি জোনের টেস্ট শেষে মোট গ্যাসের মজুত সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবো।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরের শুরুতে এই গ্যাসক্ষেত্রের ৩ নম্বর কূপের খননকাজ শুরু করে বাপেক্স। এর আগে, ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি শাহাজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রটির ১ নম্বর কূপ উৎপাদনের যাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের ২ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়।
চস/স