সিরাজগঞ্জের চৌহালিতে শিশুকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা ঘটনার সাত বছর পর রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশণ পিবিআই। এই ঘটনার মূল আসামিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার সকালে সিরাজগঞ্জ পিবিআই কার্যলয়ে এক প্রেস কনফারেন্সে এ তথ্য জানান পিবিআই এর পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম।
তিনি জানান, ২০১৭ সালের ২৬ মার্চ সিরাজগঞ্জের চৌহালি উপজেলায় স্কুলের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান দেখে আর বাড়িতে আসে না ৭ বছরের শিশুটি। শিশুটির মায়ের ধারনা ছিলো তার মেয়ে স্কুলের পাশে ফুপুর বাড়িতে আছে। তাই তারা খোঁজাখুঁজি করে না। পরের দিন সকালে চৌহালির মধ্যে শিমুলিয়া চরে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় শিশুটির বাবা শুকুর আলী বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে চৌহালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। চৌহালি পুলিশ মামলাটি ক্লুলেস হওয়ায় ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে দেয়। কিন্তু বাদী এই রিপোর্টে না রাজি দিলে ২০১৯ সালে মামলার তদন্ত ভার পায় পিবিআই। এরপর পিবিআই ঐ মামলার তদন্তে নামে। তদন্তে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ও ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পায় একাধিক ব্যক্তি শিশুটিকে ধর্ষণ করে পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।
এরপর গত ১৯ এপ্রিল পুলিশ নিহত শিশুর ফুফাতো ভাই ছাব্বিরকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের পর এই ঘটনার মূল আসামি শাকিব খানকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপার্দ করে। আদালতে দুই জন এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার স্বাকীরোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়।
পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম ঢবলেন, ফুফাতো ভাই ছাব্বির ৭ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশু মামাতো বোনকে ধর্ষণের জন্য তাদের হাতে তুলে দিলেও তাকে সেই টাকাও দেয়নি আসামিরা। এই দলবদ্ধ ধর্ষণের সাথে আরো ৬জন জড়িত আছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি দুইজন বর্তমানে জেল হাজতে আছে।
চস/আজহার