spot_img

৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শনিবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ

প্রথমবারের মতো নারী এশিয়া কাপে বাংলাদেশ

মিয়ানমারকে হারিয়ে এশিয়ান কাপে এক পা দিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। ঘণ্টাখানেক পর গ্রুপের অন্য ম্যাচটি ড্র হওয়ায় রীতিমতো স্বপ্নপূরণ হয়ে গেল! ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে তারা।

বুধবার (২ জুলাই) ইয়াঙ্গুনের থুউনা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচে জোড়া গোল করেন ঋতুপর্ণা চাকমা। এই জয়ে দুই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ পয়েন্ট। গ্রুপের আরেক ম্যাচে বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানের ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হওয়ায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের।

একইসঙ্গে ঋতুপর্ণা চাকমারা পেয়ে গেল আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় এএফসি উইমেন’স এশিয়ান কাপের টিকিট।

থুউনা স্টেডিয়ামে আজকের বিকেলটা কেবল একটি জয় নয়, তা ছিল নারীদের ফুটবলে বাংলাদেশের এক যুগান্তকারী মুহূর্ত। স্বাগতিক মিয়ানমারকে তাদেরই মাটিতে হারিয়ে বাংলাদেশ নারীরা নিশ্চিত করল প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা। ২০২৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বসবে সেই বহুল কাঙ্ক্ষিত আসর, যেখানে এবার প্রথমবারের মতো বাজবে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত।

জয়ের কারিগর-ঋতুপর্ণা চাকমা। দুই অমূল্য গোল করে মিয়ানমারের স্বপ্ন ভেঙে দিলেন। এক গোল পিছিয়ে থাকা অবস্থায় ফিরে আসা, তারপর এগিয়ে যাওয়া-এ যেন সাহস, পরিকল্পনা আর মানসিক দৃঢ়তার নিখুঁত উদাহরণ।

বাংলাদেশের জয় সত্ত্বেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা ছিল। কারণ গ্রুপের অন্য ম্যাচ-বাহরাইন বনাম তুর্কমেনিস্তান। সেই ম্যাচে নাটক কম ছিল না। শেষ মুহূর্তে তুর্কমেনিস্তান এগিয়ে গেলেও যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে বাহরাইন সমতায় ফেরে। ফলাফল: ২-২।

এই ড্র বাংলাদেশের জন্য হয়ে উঠল মুক্তির বার্তা। কেননা এখন একমাত্র মিয়ানমারই সমান ৬ পয়েন্ট পেতে পারে, তবে হেড টু হেডে পিছিয়ে থাকায় গ্রুপ সেরা বাংলাদেশই।

১৯৮০ সালে কুয়েতে বাংলাদেশ পুরুষ দল খেলেছিল এশিয়ান কাপের মূল পর্বে। তারপর কেটে গেছে ৪৫ বছর। সেই শূন্যস্থান পূরণ করল দেশের মেয়েরা। প্রথমবার নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ! এটি শুধু একটি টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া নয়, এটি প্রজন্মের পর প্রজন্মের নারীদের সাহসী হয়ে ওঠার অনুপ্রেরণা। এটি প্রমাণ করে, যদি সুযোগ দেওয়া হয়, নারীরাও পারে দেশকে গর্বিত করতে।

তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ এখন শুধু ক্যালেন্ডারে একটি তারিখ। এই ম্যাচ জিতুক বা হারুক, বাংলাদেশ আগেই নিশ্চিত করেছে তাদের টিকিট। এতদিন অপেক্ষায় থাকা একটি জাতি, এখন চেয়ে আছে ২০২৬ সালের দিকে-অস্ট্রেলিয়ার মাঠে বিশ্বমানের দলের বিপক্ষে লড়বে ঋতুপর্ণা, মারিয়ারা!

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss