ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে জানমালের নিরাপত্তায় দেশের বিভিন্ন রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
মঙ্গলবার (১৯ মে) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আঘাত হানবে অতি প্রবল রূপে
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী, চাঁদপুর-শরীয়তপুর, ভোলা-লক্ষ্মীপুর, ভেদুরিয়া-লাহারহাটে ফেরি চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকবে।
পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ‘আম্ফান’ আরও শক্তিশালী হয়ে সুপার সাইক্লোনে রূপ নিয়েছে। এটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে মঙ্গলবার শেষরাত থেকে বুধবার বিকেল/সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ সাত নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ছয় নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চস/সোহাগ