শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের লোকসান প্রায় তিন কোটি টাকা। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। কমিটির পক্ষ থেকে শেয়ারবাজারের মতো জুয়াখেলায় বিনিয়োগ না করে প্রয়োজনে সঞ্চিত অর্থ এফডিআর করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম এতে সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী, শাজাহান খান, মো. মজাহারুল হক প্রধান, রণজিৎ কুমার রায়, মাহফুজুর রহমান, এম আবদুল লতিফ, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর ও এস এম শাহজাদাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি সূত্র জানায়, আগের বৈঠকের আলোচনার সূত্র ধরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে কমিটির সদস্য শাজাহান খান বৈঠকে বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ ২৬ কোটি টাকার শেয়ার ক্রয় করায় ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। শেয়ারবাজার জুয়াখেলার মতো। তাই সেখানে বিনিয়োগ না করে এফডিআরে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। তার বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে সভাপতি বলেন, শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ হলে বন্দরের জমাকৃত অর্থ এফডিআরে জমা রাখা যায়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ সাপেক্ষে বন্দরের জমাকৃত টাকা বিনিয়োগের সুপারিশ করা হয়।
এদিকে বৈঠকে জানানো হয়, বর্তমান সরকারের দিক-নির্দেশনা ও সার্বিক সহযোগিতায় ইতিমধ্যে চীন সরকারের অর্থায়নে ৬টি নতুন জাহাজ বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের বহরে যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩টি বাল্ক ক্যারিয়ার ও ৩টি প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার রয়েছে। চীন থেকে আরও ৬টি জাহাজ সরাসরি পদ্ধতিতে ক্রয়ের একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
চস/আজহার