spot_img

২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শনিবার
৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

হত্যার অভিযোগ নাট্যাভিনেতা তাপসকে

ঢাকার সাংস্কৃতিক কর্মী ও নাট্যাভিনেতা সৈয়দ গালিব হোসেন ওরফে তাপসের (৫২) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে সিরাজগঞ্জে। মৃত্যুর পর তার লাশ তড়িঘড়ি দাফনের প্রক্রিয়া চলছিল। খবর পেয়ে পুলিশ গত বুধবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ শহরের মিলনমোড় এলাকায় চাচাতো ভাই তারেক হোসেনের বাসা থেকে তাপসের লাশ উদ্ধার করে। পরে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রির টাকা আত্মসাতের জন্য আত্মীয়স্বজনরাই তাপসকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন তার মেয়ে সৈয়দা মাহাজুবা হোসেন টুপুর।

তাপসের মৃত্যুর ঘটনায় সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। এরপর মামুন ও ইব্রাহীম নামের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। পরে ৫৪ ধারায় তাদের আটক দেখিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বিকেলে তাপসের মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সাংস্কৃতিক কর্মী তাপস ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের ছাব্বিশা গ্রামে।

পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রির টাকা আত্মসাতের জন্য আত্মীয়স্বজনরাই তাপসকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন তার মেয়ে সৈয়দা মাহাজুবা হোসেন টুপুর। তিনি অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার দাদা নাট্যাভিনেতা তাপসকে পরিকল্পিত হত্যা! আওরাঙ্গজেব হোসেন ফারুক জমিদার ছিলেন। ঢাকা ও সিরাজগঞ্জে তার অনেক সম্পত্তি রয়েছে। দাদার মৃত্যুর পর আমার সৎ দাদি ডলি খাতুন ও তার বোন শেলী খাতুন মিলে অধিকাংশ সম্পত্তি বেহাত করেছেন। সিরাজগঞ্জ সার্কিট হাউজের আশপাশে দাদি ও তার বোনসহ অন্যান্য আত্মীয়স্বজন মিলে কয়েক দিন আগে ৮০ লাখ টাকা মূল্যে দাদার একটি জমি বিক্রি করেন। সেই জমির পাওনা ১৪ লাখ টাকা নিতে ৪ দিন আগে বাবা সিরাজগঞ্জ আসেন। এরপর বাবার রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে। আমার মা নেই। আমাকে ও আমার ছোট ভাইকে না জানিয়েই বাবার লাশ তড়িঘড়ি ও রহস্যজনকভাবে দাফনের চেষ্টা করা হয়। পরে আমি বাধ্য হয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী ও পুলিশকে জানাই। আমার ধারণা, সম্পত্তির লোভে দাদি ও তার বোন এবং অন্যান্য আত্মীয়স্বজন মিলে বাবাকে খুন করেছেন।’

তাপসের মৃত্যুর ব্যাপারে জানতে চাইলে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়ে টুপুরের অভিযোগের ভিত্তিতে মিলনমোড়ে চাচাতো ভাই তারেক হোসেনের বাসা থেকে তাপসের লাশটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জমিজমার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তাপস ও তার শরিকদের মধ্যে পূর্ব ঝামেলা রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে।’

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss