পৃথিবীতে এমন অনেক লেক বা হ্রদ আছে, যেগুলো খুবই সুন্দর। এমনকি সেগুলোর বিশেষ সব পরিচয়ও আছে। কিছু কিছু হ্রদ দেখতে সুন্দর হলেও বাস্তবে অনেক বিপজ্জনকও বটে। এর মধ্যে নেট্রন লেক অন্যতম।
তানজানিয়ায় অবস্থিত এই হ্রদ পৃথিবীর অন্যতম বিপজ্জনক হ্রদ বললে ভুল হবে না। এটি দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৭ কিলোমিটার ও প্রস্থে ২২ কিলোমিটার।
দেখার দিক থেকে এই নেট্রন লেক দেখতে খুব সুন্দর। এর পানি উজ্জ্বল কমলা রঙের, তবে এটি আসলে এতটাই বিপজ্জনক যে কেউ এতে প্রবেশ করলেই পাথরে পরিণত হয়।
এই রঙের কারণ এই হ্রদে উপস্থিত অণুজীব। তবে এমন নয় যে এই হ্রদে কোনো প্রাণী নেই। এই পুকুরে কিছু ছোট প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। সোডিয়াম ও কার্বনেট এর জন্য এই হ্রদে এমন এক অণুজীব জন্ম নেয়, যার জন্য এই হ্রদের পানির রং হয় লাল।
এর ফলে হ্রদের পানি অস্বাভাবিক ক্ষারধর্মী, যার পিএইচ এর মাত্রা ১০.৫। এটি চামড়াকে পুড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পশুপাখিরা এই রঙে আকৃষ্ট হয়ে হ্রদে নামে। যার ফলে মৃত্যু হয় তাদের।
বছরের অধিকাংশ সময় এই হ্রদের পানির তাপমাত্রা ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। এর ফলে পানি দ্রুত বাষ্পীভূত হয়ে যায় আর তলদেশে পড়ে থাকে পানির মতো তরল লাভা।
প্রচুর সোডিয়াম ও কার্বোনেট যুক্ত ট্র্যাকাইট লাভা দিয়ে বহুকাল আগে তৈরি হয়েছে নেট্রন হ্রদের তলদেশ। এই জলে পড়ে গেলে চামড়া শুকোনোর সঙ্গে সঙ্গে শরীরে কামড়ে ধরতে থাকে। সোডা আর লবণ। আস্তে আস্তে পাথরে পরিণত হয় ওই লবণ আর সোডা। যা পরবর্তী সময়ে চুনাপাথরে পরিণত হয়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
চস/আজহার