মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে সুইডেনকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছে তুরস্ক। সোমবার (১০ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এদিন তুরস্ক, ন্যাটো ও সুইডেনের যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপরই এমন ঘোষণা এলো। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে চলা সুইডেন তুরস্কের সমস্যার সমাধান হয়েছে।
লিথুনিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন শুরুর আগে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। বৈঠকের পর ন্যাটো মহাসচিব জানান, সুইডেনকে সমর্থন দিতে রাজি হয়েছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। নিজ দেশের পার্লামেন্টে এ বিষয়ক প্রস্তাব তুলবেন তুর্কি নেতা। অনুমোদনের বিষয়েও নিশ্চয়তা দিয়েছেন তিনি। এটিকে ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ বলে আখ্যা দেন স্টলটেনবার্গ।
তুরস্কের সবুজ সংকেত পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিসটারসন। তুরস্কের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ ন্যাটোর বাকি সদস্যরা।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম টিআরটি জানিয়েছে, ন্যাটোতে যোগ দিতে তুরস্কের দেওয়া শর্ত মেনে নিয়েছে সুইডেন। তারা তুরস্ক ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন পিকেকে, ওয়াইপিজিসহ অন্যান্য সংগঠনকে সমর্থন করবে না।
টিআরটির খবরে বলা হয়েছে, সুইডেনকে ন্যাটোতে যেতে পূর্ণ সমর্থন দেবে তুরস্ক। শিগগিরই এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব দেশটির পার্লামেন্টে তোলা হবে।
এর আগে রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের জেরে গত মেতে ন্যাটোয় অন্তর্ভুক্তির আবেদন করেছিল সুইডেন। তবে তুরস্কের বিরোধিতায় আটকে ছিল প্রক্রিয়া। মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে হলে এর সবগুলো সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনের প্রয়োজন হয়। সুইডেন আঙ্কারার ‘সন্ত্রাসী’ ঘোষিত কুর্দি অ্যাক্টিভিস্টদের আশ্রয় দিচ্ছে- এমন অভিযোগ এনে সুইডেনের ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করে তুরস্ক। এছাড়া স্টকহোমে কোরআন পোড়ানো, ইসলামবিরোধী তৎপরতা ইত্যাদিও তুর্কি কর্মকর্তাদের ক্ষুব্ধ করে।
এদিকে সুইডেনের সদস্যপদ সমর্থন করার আগে এরদোয়ান ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে তুরস্কের সদস্যপদ প্রাপ্তি স্থগিত রাখার বিষয়টি নতুন করে উত্থাপন করেন। এই প্রথমবার এরদোগান ন্যাটোর সদস্যপদে সুইডেনের অন্তর্ভুক্তির সাথে তার দেশের ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তিকে সম্পর্কিত করলেন।
তিনি বলেন, তুরস্ক ৫০ বছর ধরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দরজায় অপেক্ষা করছে। বর্তমানে ন্যাটোর প্রায় সব সদস্যই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য।
চস/স