উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) চীনের বেইজিংয়ে একটি সামরিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুলেটপ্রুফ ব্যক্তিগত ট্রেনে চীনে প্রবেশ করেছেন। তার বিরল এই বিদেশ সফরকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করার একটি সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সফর কিমের ২০২৩ সালের রাশিয়া সফরের পর প্রথম বিদেশ সফর এবং ২০১৯ সালের জানুয়ারির পর চীনের প্রথম সফর। বেইজিংয়ে কিম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০তম বার্ষিকী উদযাপনে প্যারেড উপভোগ করবেন, শি জিনপিং ও পুতিনের সঙ্গে।
চীন বহু বছর ধরে উত্তর কোরিয়ার প্রধান সমর্থক। উত্তর কোরিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা জারি রাখা ফলে দেশটির অর্থনীতিকে সচল রাখতে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ভূমিকা রাখছে। সাম্প্রতিক সময়ে কিম রাশিয়ার সঙ্গেও সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার অভিযোগ, উত্তর কোরিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধকে সমর্থন করার জন্য অস্ত্র ও সৈন্য সরবরাহ করেছে।
পুতিন এবং শির সঙ্গে কিমের উপস্থিতি তিন নেতার মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ককে তুলে ধরবে এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষেত্রে আরো খোলাখুলিভাবে সমন্বয় করার জন্য তাদের পক্ষ থেকে একটি যৌথ পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সোমবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, যাত্রার আগের দিন, কিম একটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করেছেন, যা দেশটির উন্নত অস্ত্র সক্ষমতার প্রতীক। পিয়ংইয়ং ছাড়ার কিছুক্ষণ আগে, কিম একটি নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা উন্মোচন করে এই বিষয়টিকে আরো জোরদার করেছেন।
উত্তর কোরিয়ার নেতাদের জন্য বুলেটপ্রুফ ট্রেন একটি পছন্দের যাতায়াত মাধ্যম। এর আগে কিমের পিতা এবং দাদাও বুলেটপ্রুফ ট্রেন ব্যবহার করেছেন।
কিম দুই বছর আগে পুতিনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের জন্য রাশিয়ায় ট্রেন ব্যবহার করেছিলেন। এছাড়া ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুরে প্রথমবার ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় কিম চীনের দেওয়া বোয়িং ৭৪৭ বিমানে চড়েছিলেন।
চস/স