spot_img

২০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বুধবার
৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

শীতে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলা করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। করোনার সময় সকলেই খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। যার কারণে আমরা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। তবে সামনে শীত আরেকটু হয়তো খারাপের দিকে যেতে পারে, তবুও আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে।

রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকার প্রধান একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুদান গ্রহণ করেন মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস। এদিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে অনুদান প্রদানকারীদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যাতে ব্যবসা বাণিজ্য চালাতে পারেন, তার জন্য যা করণীয় সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়েছি। এই প্রণোদনার ফলে আমাদের দেশের ব্যবসা বাণিজ্য সচল থাকা সম্ভব হচ্ছে। তাছাড়া এবারের করোনাভাইরাসে সকলেই খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে, আমি কারো বাদ দিতে পারব না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক (বিএবি) সবসময় আমাদেরকে যে কোনো কিছু হলেই সেটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্বিপাক এমনকি মুজিব বর্ষের সময়ও এগিয়ে এসেছেন। সেজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাইভেটে ব্যাংকটা দেওয়ার সিদ্ধান্ত আমরাই নিয়েছিলাম। আমরাই সব থেকে বেশি প্রাইভেট ব্যাংক দিয়েছি। কারণ গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত মানুষ যাতে ব্যাংকিং ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়, তার ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি। এমনকি কৃষককে ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা নিয়েছি। অর্থাৎ মানুষকে অভ্যস্ত করা ব্যাংকের মাধ্যমে যেন আর্থিক লেনদেন করতে পারে, সে পদক্ষেপও নিয়েছি। এতে ব্যাপক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারিত হয়েছে। ব্যাংকগুলো যাতে ভালোভাবে চলে আমরা সেটাই চাই। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যাংকের আইন যা কিছু আমরা করি আপনারা যখন আনেন যেটা যুক্তি সঙ্গত সেটা বিবেচনা করে দেখি।

বিএবিকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকটা যেন ভালোভাবে চলে সেদিকে দৃষ্টি দেবেন। কিছু কিছু ব্যাংক আছে অতি দুর্বল হয়ে যায় সেই ক্ষেত্রে অনেক সময় মার্স করাতে হয়। সেটা বিবেচনা করে দেখতে হবে, কোনটা ঠিকমত চলছে বা কোনটা চালাতে পারছে কি না। সেগুলো বিবেচনা করেই সবকিছু করা হবে। অবিবেচনা করে কিছু করা হবে না, এটুকু ভরসা রাখবেন। আপনাদের এই অনুদান সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজে লাগবে।

তিনি অনুদান প্রদানকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দোয়া করেন দেশটা যেন করোনাভাইরাসের মহামারি থেকে মুক্তি পায়, পুরো বিশ্বই যেন মুক্তি পায়। মানুষের সত্যি খুব কষ্ট হচ্ছে। ‍তবুও বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্য চালু রাখার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছি যা যা দরকার সেটা দিয়ে যাচ্ছি। আসলে জনগণের জন্য কাজ করা এটাই আমাদের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে অনুদান

কে কত অনুদান দিল: মোট ১৬৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে দেওয়া হয় এদিন। তার মধ্যে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকের (বিএবি) পক্ষ থেকে ১৬৪ কোটি টাকা, ফরেইন অফিসার্স স্পাউস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রী সেলিনা মোমেন ও পররাষ্ট্র সচিবের স্ত্রী ফাহমিদা জেবিন দেন ১০ লাখ টাকা, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট ৫ লক্ষ টাকা, মিনিস্টার গ্রুপ ২৫ লক্ষ টাকা ও ১ লাখ সার্জিক্যাল মাক্স, খাদ্য মন্ত্রণালয় ১০ লক্ষ টাকা, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ১০ লক্ষ টাকা, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ১০ লক্ষ টাকা, বাংলাদেশে বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন ৪০ লক্ষ টাকা, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল আলম ২৫ লাখ টাকা, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড পরিচালক এস এম শফিকুল্লা খান ৫ লাখ টাকা, পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন আহমেদ ১০ লক্ষ টাকা, পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মনজুর রহমান ৫ কোটি টাকা, এসবিএসসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসাইন ২৫ লাখ টাকা, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদুর রহমান ৫ কোটি টাকা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ারুল আজিম আরিফ ৫ কোটি টাকা,সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কামাল হোসেন ৫ কোটি টাকা, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ ৫ কোটি টাকা, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফারুক মহিউদ্দিন আহম্মেদ ২ কোটি টাকা, ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান লেফটেনেন্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মোল্লা ফজলে আকবর ২৫ লাখ টাকা, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান বাজাল আহমেদ ৫ কোটি টাকা, উত্তরা ব্যাংক লিমিটেডের ভাইস-চেয়ারম্যান ইফতেখারুল ইসলাম ৫ কোটি টাকা।

এছাড়া এবি ব্যাংক ৫ কোটি টাকা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ৫ কোটি, ব্যাংক এশিয়া ৫ কোটি, ব্র্যাক ব্যাংক ৫ সিটি ব্যাংক ১০ কোটি, ঢাকা ব্যাংক ৫ ডাচ বাংলা ব্যাংক ১০ কোটি, ইস্টার্ন ব্যাংক ১০ কোটি, এক্সিম ব্যাংক ১০ কোটি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ৫ কোটি, ইসলামী ব্যাংক ১০ কোটি, যমুনা ব্যাংক ৫ কোটি, মার্কেনটাইল ব্যাংক ৫ কোটি, মধুমতি ব্যাংক ২৫ লাখ, মিডল্যান্ড ব্যাংক ২৫ লাখ টাকা, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ৫ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংক ১০ কোটি টাকা, এনসিসি ব্যাংক ৫ কোটি টাকা, এনআরবি ব্যাংক ২৫ লাখ টাকা, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ২৫ লাখ টাকা অনুদান দেয়।

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss