বৃদ্ধা গৃহকর্ত্রীকে উলঙ্গ করে নির্মম নির্যাতন করার পর বাসার মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যাওয়া গৃহকর্মী রেখা অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছেন। ঢাকা থেকে তিনি পালিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে যান।
বুধবার গভীর রাতে শাহজাহানপুর থানার একটি দল জেলার রানীশংকৈল উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের চিকনমাটি গ্রামের মামার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
বৃদ্ধাকে নির্যাতনের খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর রেখা কাউকে কিছু না জানিয়ে নিরাপদ আশ্রয় নিতে পালিয়ে আসেন ঠাকুরগাঁওয়ে চিকনমাটি গ্রামের মামা কফিল উদ্দিনের বাড়িতে। গত সোমবার রেখা ওই বাড়িতে ওঠেন বলে জানান তার মামা।
ঢাকার মালিবাগের ওই বাসা থেকে লুট করা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে কি পরিমাণ মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে তা জানাতে পারেনি মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই রেজাউল করিম।
গৃহকর্মী রেখাকে আজই ঢাকায় নিয়ে আসা হবে এবং হাজির করা হবে আদালতে বলে জানান মামলার তদন্তকারী অফিসার।
রেখার মামা কফিল উদ্দিন বলেন, ১৪ বছর ধরে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নাই। রেখার মা মারা যাওয়ার পর গ্রামের বাড়ির জমিজমা বিক্রি করে স্বামীসহ ঢাকায় পাড়ি জমায় রেখা।
মামি সালমা বেগম জানান, আসার পর তিন দিন ধরে রেখার শরীরেই ছিল স্বর্ণালংকার। তিনি বেড়াতে আসার কথা বলে তার বাড়িতে ওঠেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বৃদ্ধা মাকে দেখভালের জন্য রাখা হয়েছিল গৃহকর্মী রেখাকে। সেই গৃহকর্মীর নির্মম নির্যাতনেই এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে সেই মা।
ভাইরাল হওয়া এক সিসিটিভি ভিডিওতে দেখা গেল, বৃদ্ধা বিলকিস বেগমকে নগ্ন করে চরম নির্যাতন চালিয়ে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা লুট করে ভয়ংকর সেই গৃহকর্মী।
ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঢাকার শাহজাহানপুর থানা-পুলিশের সঙ্গে রানীশংকৈল ও বালিয়াডাঙ্গী পুলিশের সহায়তা নিয়ে পলাতক গৃহকর্মী রেখাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চস/আজহার