চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলার ১১৫তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার বাঘা শরীফ বলী। ১১ মিনিট ২৪ সেকেন্ডেরশ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ের পর স্বেচ্ছায় হার মানেন রাশেদ। বিজয়ী ঘোষণা করা হয় বাঘা শরীফকে। দ্বিতীয় হয়েছেন মোহাম্মদ রাশেদ। আর তৃতীয় অবস্থান খাগড়াছড়ির সৃজন চাকমার। এদিকে গতবারের চ্যাম্পিয়ন শাহজালাল বলী স্বেচ্ছায় দুই শিষ্যকে ছেড়ে দিয়েছেন। তারা হলেন, রাশেদ ও বাঘা শরীফ।
বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর লালদীঘি ময়দানে এ বলী খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থের বালুর মঞ্চে এ খেলা হয়। এ সময় হাজারো মানুষ উপস্থিতি ছিলেন।
আজ বিকাল ৪ টায় নগরীর ঐতিহাসিক লালদীঘির চত্বরে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলার ১১৫ তম আসরের আয়োজন করা হয়। বলী-খেলাকে কেন্দ্র করে চলছে ৩ দিনের বৈশাখী মেলা।
এবারের বলী খেলার পৃষ্টপোষকতা করেছেন এনইচটি স্পোর্টস কমপ্লেঙ। তাদের সৌজন্যে এবারের বলী খেলায় চ্যাম্পিয়ন পেয়েছেন ট্রফি সহ নগদ ৩০ হাজার টাকা। যা এ যাবতকালে সর্বোচ্চ। রানার আপ পেয়েছেন ট্রফি সহ নগদ ২০ হাজার টাকা। এছাড়া তৃতীয় স্থান অর্জনকারী পেয়েছেন ট্রফি সহ নগদ ১০ হাজার টাকা। আর চতুর্থ স্থান অর্জনকারীও পেয়েছেন ট্রফি সহ নগদ ৫ হাজার টাকা। এছাড়াও এবারের বলী খেলা প্রথম রাউন্ডে বিজয়ীরা পেয়েছেন ট্রফি সহ নগদ দুই হাজার টাকা।
এবারের জব্বারের বলী খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রেল পথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এম পি। উদ্বোধক হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এবারের বলী খেলার স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এনএইচটি স্পোর্টস কমপ্লেঙ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর।
এবার এই বলী খেলায় প্রথম রাউন্ড, কোয়ার্টার ফাইনাল (চ্যালেঞ্জিং বাউট), সেমি ফাইনাল ও ফাইনালে (চ্যাম্পিয়ন বাউট) মোট ৭২ জন বলী অংশ নেন।
উল্লেখ্য, ১৯০৯ সালে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে লড়তে দেশের তরুণ যুবকদের শারীরিকভাবে তৈরি করতে এই বলী খেলার প্রচলন করেছিলেন চট্টগ্রামের বদরপাতি এলাকার বাসিন্দা আবদুল জব্বার। ধারাবাহিকভাবে শত বছর পেরিয়ে এই খেলা ঠাঁই করে নিয়েছে ইতিহাসের পাতায়।
চস/আজহার